Saturday, September 2, 2017

হনুমান চলিশা


শ্রী গুরু চরণ পদ্ম স্মরি মনে মনে ।
কোটি কোটি প্রনমিনু তাহার চরণে ।।
শ্রীরামের চরণ পদ্ম করিয়া স্মরণ ।
চতুর্বর্গ ফল যাহে লভি অনুক্ষণ ।।
বুদ্ধিহীন আমি ওহে পবন কুমার ।
ঘুচাও মনের মোর ক্লেশ  ও বিকার ।।
জয় হনুমান জ্ঞান গুনের সাগর ।
জয় হে কপিশ প্রভু কৃপার সাগর ।।
শ্রীরামের দুত অতুলিত বলবান ।
অঞ্জনার পুত্র পবন পুত্র নাম  ।।
বজ্ররঙ্গি মহাবীর তুমি হনুমান ।
কুমতি নাশিয়া সুমতি কর দান ।।
কাঞ্চন বরন তব  তুমি হে সুরেশ ।
কর্ণে তে কুণ্ডল শভে কুঞ্চিত কেশ ।।
হাতে ব্জ্র তব আর ধ্বজা বিরাজে ।
সুন্দর মহাগদা কাঁধে সাজে ।।
অপ্রুপ দুটি বাহু অঞ্জনা নন্দন ।
মহাতেজি ও প্রতাপী পবন নন্দন ।।
বিদ্যাবান গুনবান তুমি হে চতুর ।
শ্রীরামচন্দ্রের কাজে তুমি হে আতুর ।।
সর্বদা রামের আজ্ঞা করিতে পালন ।
হৃদি মাঝে রাখ রাম সীতা ও লক্ষ্মণ ।।
সূক্ষ্ম রুপে তুমি গিয়া লঙ্কা প্রবেশিলে ।
ধরিয়া বিকট রুপ লঙ্কা দগ্ধ কৈলে ।।
ভীম রুপ ধরি তুমি অসুর সংহার।
শ্রীরাম চন্দ্রের তুমি সর্ব  কাজ কর ।।
সঞ্জীবন আনি তুমি বাঁচালে লক্ষ্মণ ।
রঘুবীর হন তাহে আনন্দিত মন ।।
শ্রীরাম দিলেন তোমা আলিঙ্গন দান ।
কহিলেন তুমি ভাই ভরত সমান ।।
সহস্র বদন তব গাবে যশ খ্যাতি ।
এত বলি আলিঙ্গন করেন শ্রীপতি ।।
সনকাদি ব্রহ্মাদি যতেক দেবগন ।
নারদসারদ আদি দেব ঋষি গন ।।
যম ও কুবেরের আদি দিকপালগনে ।
কবি ও কবিদ যত আছে ত্রিভুবনে ।।
সুগ্রিবের উপকার তুমি হে করিলে ।
রাম সহ মিলাইয়া রাজপদ দিলে ।।
তোমার মন্ত্রণা বিভীষণ মানিল ।
রাবনের ভয়ে সবে কম্পমান ছিল ।।
সহস্র যোজন উরদ্ধে সূর্য দেবে দেখে ।
সুমধুর ফল বলি ধাইলে গ্রাসিতে ।।
জয় রাম বলি তুমি অসীম সাগর ।
পার হয়ে প্রবেশিলে লঙ্কার ভিতর ।।
যা কিছু দুর্গম কাজ আছে ত্রিভুবনে ।
সুগম করিলে সব তুমি রাম নামে ।।
চিরদ্বারি আছ তুমি শ্রীরামের দ্বারে ।
তব আঙ্গা বিনা কেহ প্রবেশিতে নারে ।।
শরণ লইনু প্রভু আমি যে তোমারি ।
তুমিই রক্ষক মোর আর কারে ডরি ।।
নিজ তেজ নিজে তুমি কর সম্বরন ।
তোমার হুংকারে দেখ কাঁপে ত্রিভুবন ।।
ভুত প্রেত পিশাচ কাছে আসিতে না পারে ।
মহাবীর তব নাম যেইজন স্মরে নিরন্তর ।।
সঙ্কটেতে হনুমান উদ্ধার করিবে ।
তোমার চরণে যেবা মন প্রান দিবে ।।
সর্বপরি রামচন্দ্র তপস্বী ও রাজা ।
শ্রীরামের অরিগনে তুমি দিলে সাজা ।।
তোমার চরণে যেবা মন প্রান দিবে ।
এ জীবনে সেই জন সদা সুখ পাবে ।।
প্রবল প্রতাপ তব হে বায়ু  নন্দন ।
চার যুগ উজ্জ্বল রহিবে ত্রিভুবন ।।
সাধু সন্ন্যাসিরে রক্ষা কর মতিমান ।
শ্রীরামের প্রিয় তুমি অতি গুনবান ।।
অষ্টসিদ্ধি নব সিদ্ধি যাহা কিছু রয় ।
সকলই সিদ্ধ হয় তোমার কৃপায় ।।
রাম রসায়ন আছে তব নিকটেই ।
শ্রীরামের দাস হয়ে রয়েছ সদাই ।।
তোমার ভজন কৈলে রাম কে পাইবে ।
জনমে জনমে  তার দুঃখ ঘুচে যাবে ।।
অন্তকালে পাবে সেই রামের চরণ ।
এই সার কথা সব শুন ভক্তগন ।
সব ছারি বল সবে জয় হনুমান ।।
হনুমন্ত সর্ব সুখ করিবে প্রদান ।
সর্ব দুঃখ দূরে যাবে সঙ্কট কাটিবে ।।
যেইজন  হনুমন্ত স্মরণ করিবে ।
জয় জয় জয় জয় হনুমান গোঁসাই ।।
তব কৃপা ভিন্ন আর কোন গতি নাই ।
যেই জন শতবার ইহা পাঠ করে ।
সকল অশান্তি তার চলে যায় দূরে ।।
হনুমান চলিশা যে করে পঠন ।
সর্বকাজে সিদ্ধি লাভ করে সেই জন ।।
তুলসীদাস সর্বদাই শ্রী হরির দাস ।
মনের মন্দিরে প্রভু কর সদা বাস ।।

পবন নন্দন        সঙ্কট হরণ 
মঙ্গল মুরতি রুপ ।
শ্রী রাম লক্ষ্মণ  জানকী রঞ্জন 
তুমি হৃদয়ে ভুপ 
পবন নন্দন প্রবল বিক্রম 
রাম অনুগত অতি ,
চালিশা হেথায় , সমাপন হয় ,
পদে থাকে যেন মতি ।



No comments:

Post a Comment